নিজস্ব প্রতিবেদ, সাভারঃ
সাভার ল্যাবরেটরি কলেজের এক দরিদ্র ছাত্র ও তার পিতা ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) চাইতে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ পয়ত্রিশ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সংক্রান্তে বিভিন্ন পত্রিকায় ‘সাভারে কলেজে টিসির দাম ৩৫ হাজার টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ রাসেল হাসানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে ঐ দরিদ্র ছাত্রকে টিসি নেয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
উল্লেখ্য, সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় অবস্থিত সাভার ল্যাবরেটরি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো: ইমন হোসেনের পিতা রিপন মিয়া জানান, গত ১৩ জানুয়ারী সাভার ল্যাবরেটরি কলেজে টিসির জন্য আবেদন করা হয়। টিসি চাইতে গেলে সাভার ল্যাবরেটরি কলেজের অধ্যক্ষ মো: জাহাঙ্গীর আলম ইমনের দরিদ্র পিতা রিপনের কাছে পয়ত্রিশ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দিলে টিসি দেয়া হবেনা বলেও ওই অধ্যক্ষ সাফ জানিয়ে দেন।
অবশেষে গত সোমবার আবারো রিপন মিয়া কলেজে গেলে তার হাতে একত্রিশ হাজার পাঁচ’শ টাকার নতুন একটি হিসেব ধরিয়ে দিয়ে তা পরিশোধ করার কথা বলে দেন।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা নিয়ে শুধুমাত্র চলতি বেতন পরিশোধ করে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নেয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এসময় ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেনো না হয় কলেজ কর্তৃপক্ষকেও এ ব্যাপারে সাবধান করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ রাসেল হাসান জানান, দরিদ্র ছাত্র ইমনের টিসির সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। প্রতিটি অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। পরে শেখ রাসেল হাসানের এ ধরনের উদ্যোগে সাভারের সচেতন মহল ও ভুক্তভোগী পরিবার তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।